স্বদেশ ডেস্ক:
রংপুর-৩ শুন্য আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান অভিযোগ করেছেন, প্রশাসন ও কালো টাকার প্রভাবে ভোটের আগের রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। আমরা বলেছিলাম ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন না, সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। সরকার ও প্রশাসন এক হয়ে প্রকাশ্যেই মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করছে।
শনিবার বেলা ১২টায় নগরীর কালেক্টরেট স্বুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা সাধারণ সম্পাদক র্ইচ আহমেদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
রিটা রহমান বলেন, ভোটের আগের রাত অর্থ্যাৎ গতকাল শুক্রবার রাতে সদর আসনের বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশী চালিয়েছে প্রশাসন। ভোটের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি নিয়ে গেছে। ভোরবেলা আবার আমরা সেগুলো পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে রাতে মোবাইলে ও সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
রিটা রহমান আরো বলেন, আমরা বারবার অনুরোধ করেছিলাম যে ভোটের মাঠ সুষ্ঠু রাখেন। নিরপেক্ষ আচরণ করেন। কিন্তু তারা পক্ষপাতিত্ব করছেন। ভোটের মাঠ সবার জন্য সমান করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ।
তিনি বলেন, আমরা বারবার অভিযোগ করে আসছিলাম, ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার নিয়ে শংকিত। ইভিএম মেশিনে কোথায় ভোট দিবেন, কোথায় যাবে এ নিয়ে তারা শংকিত। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনকে বারবার বলেছি। ভোটারদের আস্থায় আনার জন্য। কিন্তু তারা শোনেননি। আমাদের কথারই প্রতিফলন ঘটেছে ভোটে। বেলা ১২টা অবধি ৭ ভাগ মানুষও ভোট দিতে আসেননি। কমিশন ও সরকারের উপর মানুষের আস্থা নেই। তাই ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন না।
রিটা রহমান বলেন, নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রশাসন সরকারের হয়ে কাজ করছে। সরকারের প্রতি এবং ভোটের প্রাতি মানুষের অনাস্থার বিষয়টি আমরা দেশে এবং বিদেশে দেখিয়ে দেয়ার জন্য লড়ছি। এই লড়াই অব্যাহত থাকবে।
দুপুর ২টায় মমিনপুর ইউনিয়নের সাহাবাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান অভিযোগ করে বলেন, ভোটার উপস্থিতি স্মরণকালের মধ্যে কম হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের যোগসাজসে সরকার ও মহাজোট প্রার্থৗ ১৫ ভাগ ভোট টেম্পারিং করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি আশঙ্কা করে ইতোমধ্যেই আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান, ভোটে আমরা প্রভাব বিস্তার করছি না। বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই রংপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর গত ১৬ জুলাই আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।